ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০২৫:
শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ এবং ২০২১ সালের বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় নিহত শহীদদের নাম একটি স্থায়ী অবকাঠামোয় অংকিত করে স্মরণ করার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে ২০১৩ ও ২০২১ সালের দুইটি ঘটনার শহীদদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা হিসেবে চেক প্রদান করা হয়।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন,
“শহীদদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাঁদের পরিবারের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি আজও শাপলার শহীদদের সম্মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে।”
তিনি আরও বলেন,
“শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ২০১৩ সালের ৫ মে ও ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট—এই দুই দিন দেশের ইতিহাসে একই সুতোয় গাঁথা। আমরা তাদের চিরস্মরণীয় করে রাখব।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ডা. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে শহীদদের স্বজনদের হাতে প্রতিজনকে ১০ লাখ টাকা করে সহায়তা চেক তুলে দেওয়া হয়। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানান,
“২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে শহীদ ৫৮ জন এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ১৯ জন—মোট ৭৭ জন শহীদ পরিবারের প্রত্যেককে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।”
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং তাঁদের স্মৃতি সংরক্ষণে স্থায়ী পদক্ষেপের ঘোষণা দেওয়া হয়। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, শিগগিরই শহীদদের নাম সংবলিত স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ বা ফলক নির্মাণের কাজ শুরু হবে।