নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় || প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে সাড়ে চার ঘণ্টায় প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন, যা মোট ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশ।
বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার জি এইচ হাবীব এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও কিছু কারিগরি জটিলতায় তা শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায়।
৩৫ বছর পর আবারও চাকসু নির্বাচন
চাকসু ও হল সংসদের এই নির্বাচন হচ্ছে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। এবারের নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। এছাড়া ১৪টি আবাসিক হল ও একটি হোস্টেলের জন্য বরাদ্দ ১৪টি করে পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ৪৯৩ জন প্রার্থী। নারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪৭ জন।
ভোটের সংখ্যা ও সময়সীমা
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৮ জন। প্রতিটি ভোটারকে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি পদে ভোট দিতে হচ্ছে। এজন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ভোট দিতে গড়ে ১০ মিনিট করে সময় দেওয়া হচ্ছে। ফলে গড়ে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি করে ভোট দেওয়ার হিসাব অনুযায়ী ভোটগ্রহণ চলছে।
ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৪টায়। এরপর ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে ভোট গণনা শুরু হবে। হল সংসদের ফলাফল ভোটকেন্দ্রেই ঘোষণা করা হবে, আর কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
এদিকে, নির্বাচন চলাকালীন দুইজন ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।