ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আবার বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই মাসে সংঘটিত গণ–অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও এক দফা সময় বৃদ্ধি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ পর্যায়ের ৪৫ জন রাজনৈতিক নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা।

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই সময় বৃদ্ধি সংক্রান্ত আদেশ দেন। এর মাধ্যমে তদন্ত সংস্থাকে আগামী ৮ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত নতুন সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।

এই মামলার ৪৫ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। আজ তাদের মধ্যে ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার হলেও অসুস্থতার কারণে একজন আসামিকে এদিন হাজির করা সম্ভব হয়নি।

ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া আসামিরা হলেন:

সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আমির হোসেন আমু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাজাহান খান, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে আদালতে আনা হয়নি।

এর আগে গত ২০ জুলাই এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সময় আরও প্রায় তিন মাস বাড়িয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

মামলার প্রেক্ষাপট

২০২৫ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নিখোঁজ এবং নির্যাতনের অভিযোগে এ মামলা দায়ের হয়। তদন্ত সংস্থা বলছে, এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ (মানবতাবিরোধী অপরাধ) সংঘটিত হয়েছে এবং এর পেছনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা ছিল।

এ মামলায় অভিযুক্তদের অনেকেই তৎকালীন সরকার বা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এ কারণে মামলাটি শুরু থেকেই দেশি-বিদেশি নানা মহলের নজরে রয়েছে।

আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ৮ জানুয়ারি ২০২৬। ওইদিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হলে, প্রসিকিউশনকে কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হতে পারে।

Check Also

“নিজেদের সম্মানটুকু কলঙ্কিত করবেন না” — এনসিপিকে ফারুকের সতর্ক বার্তা

জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) …

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।