প্রতিনিধি, কয়রা (খুলনা) | প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সুন্দরবনের গহিন বনে শিকার করে বরফে হিমায়িত অবস্থায় ৪৮ কেজি হরিণের মাংস ও ৮০ কেজি মাছ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। খুলনার কয়রা উপজেলার শাকবাড়িয়া নদীর তীরে সোমবার মধ্যরাতে চালানো অভিযানে এসব মাংস ও মাছসহ একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
আটক হয়েছেন একজন শিকারি, আরেকজন পালিয়ে গেছেন।
কী ঘটেছিল?
কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের বনরক্ষীরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শাকবাড়িয়া নদীতে টহলে গেলে সন্দেহজনকভাবে অবস্থানরত একটি নৌকা দেখে কাছে যান। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন শিকারি নদীতে লাফ দিয়ে পালিয়ে গেলেও দিদারুল ইসলাম (৩৫) নামে একজনকে আটক করা হয়। তিনি কয়রার মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা।
উদ্ধার হওয়া মালামাল:
- বরফে রাখা ৪৮ কেজি হরিণের মাংস
- প্রায় ৮০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ
- সুন্দরবনে মাছ ধরার চরেপাতা জাল
বন বিভাগ জানায়, এই ঘটনায় কয়রা বন আদালতে মামলা করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশে হরিণের মাংস ধ্বংস করা হবে এবং পচে যাওয়া মাছ ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে।
শিকারের পদ্ধতি:
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিকারিরা সাধারণত জালের সঙ্গে দড়ি নিয়ে যান এবং তা দিয়ে বনে গিয়ে তৈরি করেন ফাঁদ, যাকে তারা ‘ডোয়া’ বলে। হরিণ এই ফাঁদে আটকা পড়লে তারা গোপনে জবাই করে মাংস নিয়ে ফিরে আসে।
বন বিভাগের অবস্থান:
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন,
“হরিণ শিকার নিয়ে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে। হরিণ মারা যাওয়ার পর মাংস উদ্ধার নয়, বরং শিকার ঘটার আগেই রোধ করাই আসল সাফল্য।”
তিনি আরও জানান, মাংসের ক্রেতা, বিক্রেতা ও শিকারিদের চিহ্নিত করে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে এবং তথ্যদাতাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থাও রয়েছে।