আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১২ অক্টোবর ২০২৫
দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের মোড় ঘুরেছে এক অপ্রত্যাশিত চুক্তিতে। ইসরায়েলের হাতে আটক সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে হামাস, আর এই সিদ্ধান্ত এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায়।
হামাসের দুই জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি নেতা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ এবং সাম্প্রতিক কূটনৈতিক তৎপরতায় তারা বুঝতে পেরেছেন, গাজা যুদ্ধ বন্ধে এবার সত্যিই আন্তরিক ভূমিকা রাখতে চান ট্রাম্প। আর সেই আস্থায়ই তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেছে।
চুক্তির অধীনে হামাস জিম্মিদের ছেড়ে দেবে, আর ইসরায়েল গাজার কিছু এলাকা থেকে সেনা আংশিকভাবে প্রত্যাহার করবে। তবে চূড়ান্ত সেনা প্রত্যাহার বা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মতো বড় দাবিগুলো এখনই মানা হয়নি।
এর আগে জানুয়ারিতেও এমন একটি চুক্তি হয়েছিল, যা কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। তাতে ইসরায়েলের হামলায় ১৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। তবুও এবার হামাসের বিশ্বাস, ট্রাম্প নিজেই এতটাই জড়িয়ে পড়েছেন যে এই চুক্তিকে সফল করতেই হবে।
এই চুক্তির পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে কাতার, মিসর ও তুরস্ক। আলোচনায় ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও দূত স্টিভ উইটকফ ছিলেন সক্রিয়।
হামাসের একজন নেতা রয়টার্সকে বলেন, “আমরা জানি ঝুঁকি নিয়েছি। কিন্তু এটাকেই আমরা যুদ্ধ শেষের সুযোগ হিসেবে দেখছি।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি গাজায় সহিংসতা কমাতে সহায়ক হলেও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমাধান এখনো অনিশ্চিত।