বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে কয়েক মাসের শান্তিপূর্ণ বিরতির অবসান ঘটিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন। চীনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবার ১০০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
কী বললেন ট্রাম্প?
গতকাল শুক্রবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার রপ্তানিতেও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হবে। আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে এসব কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসন্ন বৈঠক এখন অনিশ্চিত। যদিও তিনি বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেননি।
চীনের পদক্ষেপ কী ছিল?
চীন সম্প্রতি বিরল ধাতুর রপ্তানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এই ধাতুগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ তৈরিসহ আধুনিক প্রযুক্তি খাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের এমন পদক্ষেপকে “শত্রুভাবাপন্ন নির্দেশ” হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, “আমাদের কাছে এর দ্বিগুণ বিকল্প আছে।”
মার্কিন বাজারে প্রতিক্রিয়া:
- এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ২% পড়ে গেছে, যা এপ্রিলের পর সবচেয়ে বড় পতন।
- বিনিয়োগকারীরা সোনা ও মার্কিন ট্রেজারি বন্ডে ঝুঁকেছেন।
- ডলার দুর্বল হয়েছে, প্রযুক্তি খাতেও ধাক্কা লেগেছে।
কী বলছেন বিশ্লেষকেরা?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ঘোষণা হয়তো শুল্কবিরতির শেষের সূচনা। চীন সফটওয়্যারে মার্কিন নিয়ন্ত্রণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশেষ করে ক্লাউড কম্পিউটিং ও এআই শিল্পে।
চীন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা বাণিজ্যনীতির সমালোচক।
সামনের দিনগুলো কেমন হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্টোবরের শেষে অ্যাপেক সম্মেলনের আগে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। উভয় পক্ষই মনে করছে, শক্ত অবস্থান নিলে অপর পক্ষ ছাড় দেবে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাত ও বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায়।