প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো তাঁকে ফোন করে জানিয়েছেন, তিনি এই পুরস্কার ট্রাম্পের সম্মানে গ্রহণ করেছেন।
ওভাল অফিসে শুক্রবার এক প্রশ্নোত্তর পর্বে ট্রাম্প বলেন, “তিনি (মাচাদো) আমাকে ফোন করে বললেন, ‘আমি এই পুরস্কার আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি, কারণ আপনি সত্যিই এর যোগ্য ছিলেন।’ এটা খুবই আন্তরিক একটি কাজ।”
হোয়াইট হাউসের অসন্তুষ্টি
নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম না আসায় হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝরে পড়ে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এক্স-এ এক পোস্টে লেখেন, “নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে, তারা শান্তির বদলে রাজনীতিকে গুরুত্ব দেয়।”
চেউং আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন, মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন, শান্তিচুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এমন মানবিক হৃদয়ের মানুষ আর দেখা যাবে না।”
নিজেকে ‘আসল দাবিদার’ বললেন ট্রাম্প
ট্রাম্প বলেন, তিনি চাইলে হয়তো মাচাডো তাঁকে পুরস্কারটি দিয়ে দিতেন। “আমি তাঁকে বলিনি, তাহলে আমাকে দিয়ে দাও। যদিও মনে হয়, তিনি দিতেন,”— বলেন ট্রাম্প।
গত সপ্তাহেই ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির ঘোষণা দেন। তাঁর দাবি, তিনি দায়িত্বে আসার পর আটটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন, যা তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রকৃত দাবিদার করে তোলে।
তবে ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেছেন, ২০২৪ সালের পরিস্থিতি—বিশেষ করে তাঁর ব্যস্ত নির্বাচনী প্রচারণা—পুরস্কারপ্রাপ্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তবুও তিনি মনে করেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান এত বড় যে নোবেল কমিটিকে সেই ভূমিকা স্বীকার করা উচিত ছিল।”
ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাডো ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দেশটিতে দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শান্তি প্রচেষ্টায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।