ঢাকা, ১৬ অক্টোবর ২০২৫:
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানিয়েছে, সরকার যদি নির্দিষ্ট দুটি শর্ত পূরণ না করে, তাহলে তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
কী বলেছে এনসিপি?
নাহিদ ইসলাম বলেন,
“আমরা যদি আইনি ভিত্তি ও স্পষ্ট আদেশ ছাড়া সনদে সই করি, তাহলে সেটা মূল্যহীন হয়ে যাবে। ভবিষ্যতের সরকার কীভাবে এটা বাস্তবায়ন করবে, সেটারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই আগে এসব নিশ্চিত করতে হবে।”
এনসিপির দুটি প্রধান শর্ত:
১. জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি আদেশ প্রকাশ করতে হবে – স্বাক্ষরের আগেই জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী আদেশ জারি করতে হবে।
২. সনদের মূল খসড়া বা টেক্সট দলকে দেখাতে হবে – কোন ভাষায়, কোন শর্তে সনদ তৈরি হচ্ছে, তা আগেই পর্যালোচনা করতে চায় দলটি।
গণভোটের বিষয়েও বক্তব্য
নাহিদ ইসলাম জানান,
জুলাই সনদের অধীনে ৮৪টি সংস্কার একসঙ্গে গণভোটে তোলা হবে। তিনি বলেন,
“গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, সেটাও আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে জানাতে হবে। এতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (অসন্তোষের নোট) আলাদা করে কোনো গুরুত্ব পাবে না।”
তাঁর মতে, যদি জনগণ গণভোটে সনদ অনুমোদন করে, তাহলে পরবর্তী সংসদকে সংবিধান সংস্কারের ক্ষমতা দেওয়া হবে।
ইউনূসের ভূমিকা প্রসঙ্গে
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন,
“ড. ইউনূস যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করেছেন, তাই তিনি প্রেসিডেন্ট নন, বরং সরকারের পক্ষ থেকেই আদেশ জারি করবেন।”
কেন সই করছে না এনসিপি?
এ পর্যন্ত এনসিপি জুলাই সনদে সই না করার দুটি কারণ উল্লেখ করেছে:
- আইনি ভিত্তি নেই – সনদের বাস্তবায়ন আদেশ বা লিগ্যাল অর্ডার এখনো জারি হয়নি।
- মূল সনদপত্র দেখানো হয়নি – দলটির দাবি, সনদের চূড়ান্ত খসড়া বা টেক্সট এখনো তাদের দেখানো হয়নি।
নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, এই দুটি বিষয় স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত সনদে সই করবে না এনসিপি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সরকার তাদের দাবি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।