বগুড়া-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী নিয়ে দৃষ্টি এখন দলীয় হাইকমান্ডের দিকে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আলোচনায় আসে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা।
শনিবার ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানান, শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়া বিএনপির দুর্গ এবং মডেল জেলা। তাই এখানকার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতেই এই বৈঠকের আয়োজন।
তারেক রহমান স্পষ্টভাবে বলেন, যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। মনোনয়ন না পেলেও দলের অন্য নির্বাচন ও কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে জানান তিনি। নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান ছিল—মনোনয়ন না পেলেও ধানের শীষের বিজয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বৈঠকে বগুড়া-২ আসনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাছেদ। তিনি বলেন, যিনিই প্রার্থী হোন না কেন, তাঁর হাতেই যেন ধানের শীষ প্রতীক ওঠে। এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রশ্ন তোলেন, বিএনপির আসনে ধানের শীষ থাকবে—এটা তো স্বাভাবিক, আলোচনায় তোলার কী আছে?
জবাবে তারেক রহমান বলেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই হয়তো এই প্রসঙ্গ উঠেছে। তবে, মান্নাকে আসনটি ছাড়ার ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত অবস্থান তিনি নেননি।
বৈঠকে বগুড়ার সাতটি আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাদের মধ্য থেকে একজনকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তবে ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশও ছিল স্পষ্ট।
সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও বৈঠকের আলোচনায় রাজনৈতিক সমঝোতার সম্ভাবনার ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।