অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে নতুন করে দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে—‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’। এই লাইসেন্স দুটি পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই নেতা। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিপি নুর বলেন, ‘শুনেছি এনসিপির দুই নেতার নামে দুটি গণমাধ্যমের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যাদের আমি চিনি—তারা নিজেদের সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। তারা কীভাবে একটি টেলিভিশন পরিচালনা করবেন?’
নুর জানান, এসব ব্যক্তির কেউ মূলধারার গণমাধ্যমে কাজ করেন না, কারও আয়ও খুব সীমিত। তাদের এমন গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন কীভাবে ও কোথা থেকে মিলল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘এই বিষয়টি আমাকে বিস্মিত করেছে। যারা একসময় আমার সহকর্মী ছিলেন, তারা আজ টিভি মালিক হচ্ছেন—কীভাবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতের চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।’
সরকারের সাম্প্রতিক আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে নুর বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেন সরকারের শুরুতে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান যেমন ছিল, এই সরকারে তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। বরং পুরোনো ধারার ভাগ-বাঁটোয়ারা, নিয়ন্ত্রণ ও স্বজনপ্রীতির চিত্রই আমরা দেখছি।’
ভিপি নুরের মতে, ‘আমরা এই সরকার থেকে এমন কিছু প্রত্যাশা করিনি। ক্ষমতাসীনদেরই এর দায় নিতে হবে।’
কারা পেলেন লাইসেন্স?
গতকাল মঙ্গলবার অনুমোদন পাওয়া নতুন দুটি চ্যানেল হলো ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’।
নেক্সট টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন। তিনি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এনসিপিতে যোগ দেন এবং এর আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন।
লাইভ টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন আরিফুর রহমান নামের আরেক ব্যক্তি, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। তিনি ছয় বছর আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করতেন।