নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আজ মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর চূড়ান্ত অনুলিপি পাঠাচ্ছে। ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত এই সনদে বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কে কোনো সুপারিশ থাকছে না। কমিশন জানিয়েছে, এই সুপারিশ পরে সরকারের কাছে পেশ করা হবে।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে দুই পর্বে মোট ৬৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব, যা সনদের দ্বিতীয় ভাগে অন্তর্ভুক্ত। সনদের প্রথম ভাগে রয়েছে পটভূমি এবং তৃতীয় ভাগে রয়েছে বাস্তবায়নের জন্য সাত দফা অঙ্গীকারনামা।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় হবে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। প্রায় তিন হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এ আয়োজনে। সহযোগিতায় রয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
কমিশন ইতিমধ্যে ৩০টি দল ও জোটকে সনদে স্বাক্ষরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এসব দল থেকে দুজন করে স্বাক্ষরকারীর নামও চাওয়া হয়েছিল, যা অধিকাংশ দল পাঠিয়েছে। তবে সব দল শেষ পর্যন্ত সনদে সই করবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
সনদের বিষয়ে আর কোনো রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে কমিশন। ১১ সেপ্টেম্বর যে খসড়া পাঠানো হয়েছিল, মূলত সেটিকেই ভাষাগত কিছু সংশোধনসহ চূড়ান্ত রূপে পাঠানো হচ্ছে।
সনদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংক্রান্ত সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির প্রসঙ্গ নতুন করে যুক্ত করা হচ্ছে না। কমিশন জানিয়েছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সংসদ।
এদিকে, সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আলোচনায় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সামগ্রিকভাবে ঐকমত্য হলেও, গণভোটের সময়, প্রক্রিয়া ও প্রশ্নবিষয়ক বিষয়ে এখনও মতভেদ রয়েছে, বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ আগামী শুক্রবারের মধ্যে সরকারের কাছে জমা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে এখনো সুপারিশ চূড়ান্ত হয়নি।