প্রতিনিধি | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’-এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছে ছাত্রদল ও ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, শিবির-সমর্থিত প্যানেল রাত ৯টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে প্রজেকশন মিটিং করে, যেখানে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়—যা নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী প্রার্থীরা:
অভিযোগকারীরা:
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন, জিএস প্রার্থী শাফায়েত হোসেন, এজিএস প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান
সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সাকিব মাহমুদ
‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবির বিন জাবেদ, এজিএস প্রার্থী পলাশ দে
ছাত্রদল প্যানেলের অভিযোগ:
ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন,
“শিবির নিয়মিত আচরণবিধি ভাঙছে। আমরা ইতোমধ্যে ৮টি অভিযোগ করেছি, কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। কমিশন জানিয়েছে, আজ দুপুর ১টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযুক্ত প্যানেলের জবাব:
‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’-এর জিএস প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব স্বীকার করেন,
“আমরা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করেছি। তবে সেটি কমিশনের অনুমতি নিয়ে করা হয়েছে এবং নিয়মের মধ্যেই ছিল।”
আচরণবিধি যা লঙ্ঘিত হয়েছে:
৪(খ) ধারা:
প্রচারণা চালানো যাবে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত
সন্ধ্যার পর সাউন্ড সিস্টেম নিষিদ্ধ
৬(ঘ) ধারা:
একটি প্যানেল সর্বোচ্চ তিনটি প্রজেকশন মিটিং করতে পারবে
৬(ঞ) ধারা:
শুধুমাত্র ক্যাম্পাস বা অডিটরিয়ামে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে
নির্বাচন কমিশনের অবস্থান:
নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন,
“আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ১টায় আচরণবিধি কমিটির বৈঠকে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫ বছর পর বুধবার (১৫ অক্টোবর) চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একই দিন হল সংসদের নির্বাচনও হবে। গতকাল ছিল প্রচারের শেষ দিন।
এই অভিযোগের ফলাফল চাকসু নির্বাচনের ফলাফল এবং প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।