আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
ইরাকের মসুল শহরের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা আল-রাবিয়া মসজিদ পুনর্নির্মাণ শেষে পুনরায় জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
নিনেভেহ প্রদেশের গভর্নর আবদুল কাদের আল-দাখিল জানান, মসুল শহরের পুরনো অংশে অবস্থিত এই মসজিদটি শহরের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
যুদ্ধের ক্ষতি ও পুনর্গঠন:
২০১৬–১৭ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী যুদ্ধে মসজিদটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে আলিপ ফাউন্ডেশন এবং ইরাকের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, মসুল বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াকফ বোর্ড এবং ইরাকি-ইতালীয় বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার ব্যয়ে মসজিদটির পুনর্গঠন সম্পন্ন হয়।
ঐতিহাসিক পটভূমি:
এই মসজিদটি নির্মাণ করেন রাবিয়া খাতুন, যিনি ছিলেন ১৭৬৬ সালের গভর্নর ইসমাইল পাশা আল-জালিলির কন্যা। ফিরোজা রঙের টাইলস, জ্যামিতিক অলঙ্করণ এবং কুরআনের আয়াতে সজ্জিত গম্বুজ মসজিদটির এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। মসজিদের পাশের প্রাচীন মাদ্রাসাটিও পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া:
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, আল-রাবিয়া মসজিদ পুনরায় চালু হওয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত মসুল শহরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।