নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় | ১৫ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ কেন্দ্রে প্রায় ৪০০ ব্যালট পেপারে নির্বাচনী কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকার অভিযোগ উঠেছে। এতে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল’-এর নির্বাচন পর্যবেক্ষক তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ৪০০টি ব্যালটে কোনো স্বাক্ষর ছিল না। এটি নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত বিধি লঙ্ঘন। ব্যালটে স্বাক্ষরের নির্ধারিত ঘর থাকা সত্ত্বেও সেগুলো ফাঁকা ছিল।’’
এ বিষয়ে ৩৩৬ নম্বর কক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাউসার হামিদ বলেন, ‘‘শুরুতে ব্যালটে সই করার নির্দেশনা আমাদের দেওয়া হয়নি। অভিযোগ আসার পর আমরা ব্যালটে সই করা শুরু করেছি। আমাদের কক্ষে এমন ৫০টি ব্যালট থাকতে পারে। তবে অন্যান্য কক্ষে কতগুলো রয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নই।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন্দ্রে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন।’’
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক। স্বাক্ষরবিহীন ব্যালট অবৈধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘‘ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ কেন্দ্রে ৮০ জন এবং প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে ১৬ জন ভোটার সই ছাড়া ব্যালটে ভোট দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাক্ষরবিহীন ব্যালটের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত চাকসু নির্বাচনে এমন অনিয়ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। অনেকে এই বিষয়টি ভোটের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন।